৫০ বছর পর সুইডেনের বিরুদ্ধে জয় আদায় করলো ইংল্যান্ড। আগের ২৩ সাক্ষাতে কেবল ৯টি ড্র করেছে দু’দল। আর জয় ছিল দু’দলের সমান ৭টি করে। এদিক থেকে এগিয়ে গেলো ‘থ্রি লায়ন্সরা’। সেই সাথে ২৮ বছর পর ইংল্যান্ড শেষ চারে নিয়ে গেছেন নেপথ্যের নায়ক সাউথগেট।
তারুণ্যনির্ভর ইংল্যান্ডকে ঠেকাতে পারল না সুইডেনের রক্ষণ। দুই অর্ধের দুটি গোলে সহজ জয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। সামারা অ্যারেনায় গতকাল ২-০ গোলে জিতেছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দারুণ হেডে হ্যারি ম্যাগুইয়ার প্রথমার্ধে এগিয়ে নেন দলকে। দ্বিতীয়ার্ধে হেডেই ব্যবধান বাড়ান ডেলে আলি।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। অবশেষে গোল আসে সেট পিস থেকে। আধঘণ্টার মাথায় অ্যাশলি ইয়াংয়ের কর্নারে লাফিয়ে উঠে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার। জাতীয় দলের হয়ে লেস্টার সিটির ডিফেন্ডারের এটাই তার প্রথম গোল।
বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান বাড়ানোর দারুন একটা সুযোগ পেয়েছিলেন রাহিম স্টার্লিং। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে পেছন থেকে উড়ে আসা বল নামিয়ে গোলরক্ষককে কাটাতে চেয়েছিলেন। কোনোমতে হাত লাগিয়ে বল পার হতে দেননি রবিন ওলসেন। আবার বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট মেরেছিলেন স্টার্লিং কিন’ সামনে শরীরটা নিয়ে ঠেকালেন আন্দ্রিয়াস গ্রাংকভিস্ত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরাতে পারতো রক্ষণের খোলস ফেলে সামনে এগোনো সুইডেন। মার্কুস বার্গের হেড বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে দর্শণীয়ভাবে ঠেকান জর্ডান পিকফোর্ড।
উল্টো ৫৯তম মিনিটে আরেকটি গোল খেয়ে আরও চাপে পড়ে সুইডেন। ডান দিক থেকে জেসি লিনগার্ডের মাপা ক্রসে কাছ থেকে হেডে ব্যবধান বাড়ান ডেলে আলি। অপরপ্রান্তে ভিক্তর ক্লসনের শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে সুইডেনকে আবার হতাশ করেন পিকফোর্ড। হতাশ করেন ৭১তম মিনিটেও কাছ থেকে বার্গের শটে বলে আঙুলের ডগা ছুঁইয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে।
ইংল্যান্ড আবারও দেখাল, সেট পিসে কত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে তারা। আর রাশিয়ার আসেরে প্রথমবারের মতো জাল অক্ষত থাকল পিকফোর্ডের নৈপুণ্যে।
২৮ বছর পর আবারও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ইংল্যান্ড। সবশেষ ১৯৯০ সালে ইতালি বিশ্বকাপের শেষ চারে তখনকার পশ্চিম জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল ইংলিশরা।
বিশ্বকাপে এই প্রথম সুইডেনের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড। দল দুটির আগের দুবারের মুখোমুখি লড়াই ড্র হয়েছিল।
